আজ শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মসজিদ-ই-নববীর ইমাম রূপগঞ্জে যা জানালেন



টি.আই.আরিফ:
জাতীয় নির্বাচনের আগে চলতি বছরেই আপাতত ৩ বার রূপগঞ্জে এলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় নেতারা বলছে রূপগঞ্জকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড। গতকাল রূপগঞ্জের পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে জাতীয় ইমাম সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সৌদি আরবের মসজিদ-ই-নববীর ইমামশায়খ ড. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল বুয়াইজান। মসজিদ-ই-নববীর ইমাম শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ,বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক,এমপি, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, নজিবুল বাশার মাইজবান্ডারী এমপি, সালমান.এফ রহমান এমপি, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী, বায়তুল মোকারম মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন প্রমুখ।

মসজিদ-ই-নববীর ইমাম শায়খ ড. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল বুয়াইজান বলেন, আমি সৌদি আরব তথা মদীনা মুনাওয়ারা থেকে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। মদিনা মনোয়ারা পৃথিবীর পবিত্রতম একটি স্থান, ওহী নাজিলের স্থান, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিজরতের স্থান। আমি সেখান থেকে এসেছি মুসলিম উম্মার এই সমাবেশে। এই মহান মাহফিল, এই সম্মেলন আমাদেরকে একত্রিত করেছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সম্মানিত ওলামায়ে কেরাম, হাফেজে কোরআনদেরকে দেখে আমি কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিজের আগ্রহে ৫৬৪টি মসজিদ নির্মাণ করেছেন, যার ৫০টি আজকে উদ্বোধন হয়েছে। মহান এই অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত। তার এই কাজটিকে আমাদের সকলের নাজাতের জন্য আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন এবং আল্লাহ তায়ালা উপযুক্ত প্রতিদান দান করুন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে, যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, সালাত কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, ওরা হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’

মসজিদ-ই-নববীর ইমাম আরও বলেন, আজকে হাফেজে কুরআনদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। নিশ্চয় এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ। আমি আবারো উপস্থিত সবার কৃতজ্ঞতা আদায় করছি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে কবুল করুন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইমাম ও বিশ্বজয়ী হাফেজদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে একই অনুষ্ঠান থেকে ষষ্ঠ পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি, আমরা শান্তি চাই। অশান্তি বা যুদ্ধ চাই না। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমরা জানি। তিনি আরও বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা পছন্দ করে না। নিরীহ মানুষকে যেন হত্যা না করা হয়। এই বাংলাদেশে অন্যান্য ধর্মের লোকও আছে। তারাও যেন নিজ নিজ ধর্ম যথাযথভাবে পালন করতে পারে। কেউ যদি অন্যায় করে, আল্লাহ বিচার করবেন। আমরা বলতে পারি না, কে মুসলমান, কে মুসলমান না। আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না, আমরা বিশ্বাস করি। কোনো ধরনের সন্ত্রাস যেন না হয়। কিছু লোক ধর্মের দোহায় দিয়ে সন্ত্রাস,মানুষ হত্যা করছে। তৃণমূল পর্যায়ে যেন শান্তি থাকে, সেটাই চাই। দেশকে যেনো আরও এগিয়ে নিতে পারি আপনারা (ইমাম) দোয়া করবেন। আমরা আপনাদের ( ইমাম) কল্যাণে কাজ করছি।